মাইন্ডচেইন কয়েন কি এবং এটি কিভাবে কাজ করে

বিগত কয়েক বছর ধরে ক্রিপ্টোকারেন্সি জগতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাগুলোর মধ্যে একটি হল মাইন্ডচেইন কয়েন। এখানে মাইন্ডচেইন কয়েন সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

মাইন্ডচেইন কয়েন কি?

মাইন্ডচেইন ভিত্তিক একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি হল মাইন্ডচেইন কয়েন ,যা একটি  মাইন্ডচেইন ইনফো বৈশিষ্ট্যযুক্ত কয়েন । মাইন্ডচেইন কয়েন হল ক্রিপ্টো জগতের একটি নতুন মুদ্রা। বর্তমানে  মাইন্ডচেইন কয়েন মুদ্রাটি আরও ভাল ভাবে লেনদেন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

বিগত ২ নভেম্বর ২০২১ইং এ মাইন্ডচেইন  কয়েন আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু করা হয়। মাইন্ডচেইন মুদ্রার ধরন হল একটি ইআরসি- টুয়েন্টি টোকেন। মাইন্ডচেইন হল একটি তুরস্ক ভিত্তিক মুদ্রা, মাইন্ডচেইনের লক্ষ্য হল, তাৎক্ষণিক  ভাবে কমিউনিটি গঠন করে মুক্তভাবে এবং নিরাপদ বাণিজ্য পরিচালনা করা।

মাইন্ডচেইন প্রকল্পের প্রধান মুদ্রা হচ্ছে মাইন্ডচেইন টোকেন( ইআরসি- টুয়েন্টি )। সমগ্র মাইন্ডচেইন ইকোসিস্টেমকে এই টোকেন যা ক্ষমতা দিয়ে থাকে এবং এর মোট সরবরাহ  হল ৭১,০০০,০০০।

মাইন্ডচেইন কিভাবে কাজ করে?

মাইন্ডচেইন ব্লকচেইনের একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো মাইন্ডচেইন টোকেন, এটি বৃহত্তম মাইন্ডচেইন  ইকোসিস্টেমের সাথে মিল রেখে কাজ করে । ডেভেলাপাররা বলেছেন যে  ব্লকচেইনে মাইন্ডচেইন সবচেয়ে ভাল কাজ করবে। এটি প্রকল্পের বিকেন্দ্রীকরণ করা সম্ভব করেছে ,কারণ এটি আত্মনির্ভরশীল এবং নিরাপদ।

তাছাড়াও মাইন্ডচেইন ইকোসিস্টেমে টোকেন এবং অন্যান্য আরো সেবা রয়েছে যা ব্যবহারকারীরা সহজে উপভোগ করতে পারবে।

মাইন্ডচেইন কয়েন কি আসল টাকা?

মাইন্ডচেইনকে আসল অর্থ হিসাবে ভাবা বেশ কঠিন। ক্রিপ্টোকারেন্সি কীভাবে গত কয়েক বছরে পরিবর্তিত হয়েছে তার একটি উদাহরণ হল স্টেবলকয়েন। স্টেবলকয়েনের দাম সাধারণত ক্রিপ্টোকারেন্সি, ফিয়াট কারেন্সি বা পণ্য বিনিময় হারে সেট করা হয়। সম্ভবত, তারা প্রকৃত অর্থ সম্পর্কে চিন্তা করে।

একইভাবে, আমাদের কাছে কয়েকটি মুদ্রা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ: বিটকয়েন, ড্যাশ, লাইটকয়েন এবং কিছু অন্যান্য যা নগদ অর্থের চাহিদা পূরণ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এবং বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে তা পাওয়া যায়। যাইহোক, মাইন্ডচেইন হল একটি মুদ্রা এবং এটিকে আসল টাকা হিসাবে ভাবা যেতে পারে। বেশ কিছু দিন আগে, মাইন্ডচেইন  বাইনানস ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জেও –তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল।

যাইহোক, মাইন্ডচেইন এনএফটি এর সূচনাও রোমাঞ্চকর কারণ এনএফটি ক্রিপ্টোকারেন্সি কমিউনিটির ভিতরে এবং বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সুপরিচিত স্টক এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং সফ্টওয়্যার রবিনহুড তার লিস্টিং এর তালিকায় মাইন্ডচেইন টোকেন( ইআরসি- টুয়েন্টি )যোগ করতে চায়,  এমন একটি গুঞ্জনও দাবি করা হচ্ছে।  

মাইন্ডচেন ওয়ালেট

বিশ্বের শীর্ষ ২০ টি ক্রিপ্টোকারেন্সির মধ্যে মাইন্ডচেইন হল অন্যতম এবং বর্তমান ক্রিপ্টো জগতে মাইন্ডচেইন কয়েন খুবই মূল্যবান। এটি একটি ( ইআরসি- টুয়েন্টি )টোকেন, যার মানে এটি অসংখ্য ওয়ালেটে সংরক্ষণ করা যেতে পারে যা বাইনানস ভিত্তিক টোকেনকে সমর্থন করে।

নিচে কিছু ওয়ালেট রয়েছে যা আপনি মাইন্ডচেইন টোকেন সংরক্ষণ করতে ও ব্যবহার করতে পারেন:

·        মেটামাস্ক ওয়ালেট (ব্রাউজার এক্সটেনশন, অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস)।

·        বাইনানস চেইন ওয়ালেট (ব্রাউজার এক্সটেনশন)।

·        লেজার ন্যানো এক্স (হার্ডওয়্যার ওয়ালেট)।

·        ইললিপল টাইটান (হার্ডওয়্যার ওয়ালেট)।

·        ট্রাস্ট ওয়ালেট।

·        স্যাপ পাল এসওয়ান  (হার্ডওয়্যার ওয়ালেট)।

·        ডি'সেন্ট (হার্ডওয়্যার ওয়ালেট)।

·        ম্যাথ ওয়ালেট (ব্রাউজার এক্সটেনশন, অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস)।

·        ওনবিট ওয়ালেট( অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস )।

·        কয়েন৯৮ ওয়ালেট (অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস )।