প্যাসিভ ইনকামের জন্য জনপ্রিয় DeFi প্ল্যাটফর্ম গাইড

আজকের দিনে ব্লকচেইন প্রযুক্তি এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির অগ্রগতির ফলে একটি নতুন ধরনের আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে, যার নাম হলো বিকেন্দ্রীভূত অর্থায়ন বা DeFi। এটি এমন একটি প্রযুক্তিভিত্তিক ইকোসিস্টেম, যা কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর না করেই বিভিন্ন আর্থিক লেনদেন ও সুবিধা গ্রহণের সুযোগ তৈরি করেছে।

Jun 12, 2025 - 11:23
Jun 12, 2025 - 11:39
 0  7
প্যাসিভ ইনকামের জন্য জনপ্রিয় DeFi প্ল্যাটফর্ম গাইড

আজকের দিনে ব্লকচেইন প্রযুক্তি এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির অগ্রগতির ফলে একটি নতুন ধরনের আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে, যার নাম হলো বিকেন্দ্রীভূত অর্থায়ন বা DeFi। এটি এমন একটি প্রযুক্তিভিত্তিক ইকোসিস্টেম, যা কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর না করেই বিভিন্ন আর্থিক লেনদেন ও সুবিধা গ্রহণের সুযোগ তৈরি করেছে। আগে যেখানে শুধু ট্রেডিং করেই আয় করার পথ ছিল, এখন DeFi প্ল্যাটফর্মগুলোর সাহায্যে বিনিয়োগকারীরা একাধিক উপায়ে প্যাসিভ আয় বা ঘরে বসেই আয় করতে পারছেন। দিন দিন এই সুযোগগুলোও বাড়ছে।

DeFi প্রজেক্টগুলোর প্রতি মানুষের আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে, যার প্রমাণ হল এইখাতে বিনিয়োগের পরিমাণ। ২০২১ সাল থেকে DeFi প্রকল্পে লক করে রাখা মোট অর্থমূল্য উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে এবং ২০২২ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত সেই পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি।

এই লেখায় আমরা বিস্তারিতভাবে জানবো, DeFi আসলে কী, এটি কীভাবে কাজ করে, এবং কীভাবে আপনি এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আপনার বিদ্যমান ক্রিপ্টোকারেন্সি ধরে রেখে বিভিন্ন উপায়ে প্যাসিভ আয় করতে পারেন।

DeFi কী এবং এটি কীভাবে কাজ করে?

DeFi হলো একধরনের নতুন ডিজিটাল আর্থিক ব্যবস্থা, যা ব্লকচেইন প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো— এটি কোনো প্রকার কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ বা তৃতীয় পক্ষ ছাড়া কাজ করে। মানে, এখানে ব্যাংক, সরকার কিংবা অন্য কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান নেই যারা আপনার লেনদেনে হস্তক্ষেপ করবে।

এই ধরনের বিকেন্দ্রীভূত ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন আর্থিক কাজ করতে পারেন, যেমন—ঋণ নেওয়া বা দেওয়া, অর্থ পাঠানো বা গ্রহণ করা, সঞ্চয়ের মাধ্যমে সুদ উপার্জন করা, এমনকি বীমা পর্যন্ত কেনা যায়। যেহেতু এখানে কোনো মধ্যস্থতাকারী নেই, তাই লেনদেনের খরচ কম হয় এবং টাকাপয়সা পাঠানোর গতি অনেক বেশি হয়।

DeFi-এর সবচেয়ে বড় সুবিধাগুলোর একটি হলো, এটি অনেক মানুষের কাছে সহজলভ্য। পৃথিবীর অনেক জায়গায় এখনো এমন মানুষ আছেন, যাদের কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই বা তারা প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে রয়েছেন। এই ধরনের মানুষদের জন্য DeFi হতে পারে একটি বড় সুযোগ, কারণ এটি শুধু ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই ব্যবহার করা যায় এবং বিশেষ কোনো অনুমতির প্রয়োজন হয় না।

আরও বড় কথা, যারা ইতিমধ্যেই কিছু ক্রিপ্টোকারেন্সি জমিয়ে রেখেছেন, তারা এই DeFi প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করে সহজেই প্যাসিভ আয় করতে পারেন। এই আয় আসে মূলত সুদ হিসেবে। DeFi প্রোটোকল ব্যবহারকারীদের এমন হারে সুদ দিতে পারে, যা সাধারণ ব্যাংক কখনোই দিতে পারে না।

কীভাবে তা সম্ভব?

যখন আপনি আপনার ক্রিপ্টোকারেন্সি DeFi প্ল্যাটফর্মে রেখে দেন বা শেয়ার করেন, তখন সেই প্ল্যাটফর্ম আপনার জমাকৃত টোকেনগুলো ব্যবহার করে ব্লকচেইন নেটওয়ার্কে লেনদেন যাচাই বা ভেরিফিকেশনের জন্য প্রুফ-অফ-স্টেক (Proof-of-Stake) পদ্ধতিতে অংশ নেয়। এই প্রক্রিয়ায় তারা লাভ করে এবং সেই লাভের একটা অংশ আপনাকে দেয় সুদের মাধ্যমে। যেহেতু এতে কোনো ব্যাংক বা দালাল নেই, তাই আপনার আয় থেকে তাদের কাটার কিছু থাকে না, ফলে আপনি তুলনামূলক বেশি আয় করতে পারেন।

এইভাবে DeFi প্ল্যাটফর্মগুলো ক্রিপ্টো ব্যবহারকারীদের জন্য একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে যেখানে ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও আয় করার সম্ভাবনাও অনেক বেশি।

DeFi দিয়ে প্যাসিভ ইনকাম করার ৩টি জনপ্রিয় ও কার্যকর পদ্ধতি

বিগত কয়েক বছরে DeFi বা বিকেন্দ্রীভূত অর্থায়ন ইকোসিস্টেমের বিস্ময়কর অগ্রগতির ফলে বিনিয়োগকারীদের জন্য প্যাসিভ ইনকাম বা ঘরে বসে আয় করার একাধিক পথ উন্মুক্ত হয়েছে। আগে শুধু ট্রেডিং বা কেনাবেচার মাধ্যমে ক্রিপ্টো থেকে আয় করা যেত, কিন্তু এখন DeFi ব্যবহার করে আপনি নিরবচ্ছিন্নভাবে আয় করতে পারেন—কোনো অতিরিক্ত পরিশ্রম ছাড়াই।

এই মুহূর্তে DeFi ব্যবহার করে প্যাসিভ ইনকাম অর্জনের যেসব পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এবং কার্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ফলন চাষ (Yield Farming), স্টেকিং (Staking) এবং ঋণদান (Lending)। নিচে প্রতিটি পদ্ধতি বিস্তারিতভাবে সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করা হলো:

 

১. ফলন চাষ (Yield Farming

ফলন চাষ, যেটিকে অনেকে তরলতা খনন (Liquidity Mining) নামেও চিনে থাকেন, এটি এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনি আপনার অলস পড়ে থাকা ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আরও বেশি ক্রিপ্টো উপার্জন করতে পারেন—তাও সরাসরি ঘরে বসেই।

এই পদ্ধতিতে, আপনি আপনার কিছু নির্দিষ্ট ক্রিপ্টো টোকেন একটি তরলতা পুলে (liquidity pool) জমা রাখেন। এটি একটি স্মার্ট কনট্রাক্টের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যেখানে আপনার দেওয়া টোকেনগুলো অন্য ব্যবহারকারীদের ট্রেডিং বা লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত হয়। DeFi প্রোটোকল সেই তহবিলগুলো বিভিন্ন জায়গায় পুনরায় বিনিয়োগ করে এবং বিনিময়ে আপনাকে পুরস্কার দেয় টোকেন আকারে।

এই প্রক্রিয়ায় যারা অংশগ্রহণ করেন তাদেরকে বলা হয় ফলন কৃষক (Yield Farmer), কারণ তারা মূলত ‘ক্রিপ্টো জমি’তে ‘বীজ বপন’ করে এবং ‘ফসল’ হিসেবে আয় পান।

এটি একটি জনপ্রিয় পন্থা কারণ এতে মূলধন হারানোর ঝুঁকি কম এবং আয়ও নিয়মিত আসতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, ফলন চাষে লাভের হার বাজারের ওঠানামার ওপর নির্ভরশীল।

২. স্টেকিং (Staking) 

বর্তমানে অনেক ব্লকচেইন নেটওয়ার্ক প্রুফ-অফ-স্টেক (Proof-of-Stake) নামের একটি কনসেনসাস মেকানিজম ব্যবহার করে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্রিপ্টো ধারকেরা তাদের টোকেন স্টেক বা আটকে রেখে লেনদেন যাচাই করার কাজে অংশ নিতে পারেন। একে সহজভাবে বলা যায়, আপনি আপনার ক্রিপ্টো কিছু সময়ের জন্য ‘গচ্ছিত’ রাখছেন, এবং তার বিনিময়ে আপনি পুরস্কার পাচ্ছেন।

স্টেকিং পদ্ধতিতে যারা অংশ নেন তাদের বলা হয় ভ্যালিডেটর। তারা নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা বজায় রাখা, লেনদেন যাচাই করা, এবং ব্লকের মধ্যে তথ্য নিশ্চিত করার কাজ করে থাকেন।

আপনি যদি নিজে ভ্যালিডেটর হতে না চান, তবুও আপনি ডেলিগেটেড স্টেকিং (Delegated Staking) এর মাধ্যমে নিজের টোকেন কোনো স্টেকিং পুলে জমা দিতে পারেন। এর ফলে পুল অপারেটর আপনার পক্ষে লেনদেন যাচাই করবে এবং আপনি সেই আয়ের একটি অংশ পেয়ে যাবেন, যা আপনার জন্য একটি সহজ প্যাসিভ ইনকাম উৎস হয়ে উঠতে পারে।

এইভাবে স্টেকিং আপনাকে নিয়মিত ও নিরবচ্ছিন্ন আয়ের পথ দেখায়—আপনি ক্রিপ্টো জমা রেখেই আয় করতে পারেন, আলাদা করে কিছু না করেও।

৩. ঋণ প্রদান (Lending) 

DeFi প্ল্যাটফর্মগুলোর সবচেয়ে কার্যকর আর একটি দিক হলো, আপনি আপনার ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলো অন্যদের ধার দিতে পারেন, এবং তার বিনিময়ে একটি নির্দিষ্ট হারে সুদ উপার্জন করতে পারেন। এই ব্যবস্থাকে বলে ক্রিপ্টো লেন্ডিং (Crypto Lending)। এটি কার্যত সেই একই ধারনা যেটি ব্যাংক গ্রহণ করে—তবে এখানে ব্যাংকের বদলে আপনি নিজেই একজন ছোটখাটো ব্যাংকের ভূমিকায়!

এই প্রক্রিয়ায়, আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্রিপ্টো কোনো DeFi প্ল্যাটফর্মে জমা রাখেন। সেই প্ল্যাটফর্ম আপনার ফান্ড ব্যবহার করে নির্দিষ্ট শর্তে অন্য ব্যবহারকারীদের ঋণ দেয়। অনেক প্ল্যাটফর্ম আপনাকে সুদের হার এবং ঋণের মেয়াদ বেছে নেওয়ার স্বাধীনতাও দেয়, আবার কিছু প্ল্যাটফর্ম এসব নির্ধারণ করে দেয় আগেই।

এছাড়াও, আপনি চাইলে লিকুইডিটি পুল বা AMM (Automated Market Maker) প্ল্যাটফর্মে তহবিল যোগ করতে পারেন। এখানে আপনি শুধু সুদই নয়, বরং লেনদেনের ফি-এর অংশ হিসেবেও আয় করতে পারেন। জমা রাখা টোকেনের পরিমাণ অনুযায়ী সেই আয় আপনাকে ভাগ করে দেওয়া হয়।

এইভাবে আপনি আপনার নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে নিয়মিত এবং নিরবচ্ছিন্ন প্যাসিভ ইনকাম অর্জন করতে পারেন, তাও বিনিয়োগ না কমিয়ে বরং সেটি সচল রেখেই।

প্যাসিভ ইনকাম তৈরির জন্য সেরা কিছু DeFi প্ল্যাটফর্ম

DeFi জগতে অনেক নাম আছে, তবে নিচে উল্লেখ করা কিছু প্ল্যাটফর্ম প্যাসিভ ইনকাম অর্জনের দিক থেকে অনেকের কাছে প্রথম পছন্দ:

Aave (AAVE)

Aave বর্তমানে DeFi দুনিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্মগুলোর একটি। এখানে ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দের ক্রিপ্টোকারেন্সি নির্ধারিত পরিমাণে জমা দিতে পারেন এবং সেই জমার ওপর ভিত্তি করে তারা বাজারের চাহিদা অনুযায়ী আয় করতে পারেন।

Aave ব্যবহারকারীদের তাদের ক্রিপ্টোকারেন্সি ধার দেওয়ার সুযোগ দেয় এবং সেই তহবিলকে জামানত হিসেবেও ব্যবহার করতে দেয়। এই প্ল্যাটফর্মের আরেকটি আকর্ষণীয় দিক হলো— যদি আপনি তাদের নিজস্ব টোকেন AAVE হোল্ড করেন, তাহলে আপনি অতিরিক্ত পুরস্কারও পেতে পারেন।

 

Synthetix (SNX) 

Synthetix হলো এমন একটি DeFi প্ল্যাটফর্ম যা আপনাকে সিন্থেটিক সম্পদ (Synths) তৈরি করতে দেয়। এই সম্পদগুলো বাস্তব কোনো স্টক, কারেন্সি বা পণ্যের দামকে অনুসরণ করে। এর ফলে, আপনি কোনো সম্পদ কিনে না রেখেও সেটির দাম বাড়বে বা কমবে—এই ধারণার উপর ভিত্তি করে ট্রেড করতে পারেন।

এই প্ল্যাটফর্মটি মূলত Ethereum ব্লকচেইনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হলেও, এটি ব্যবহারকারীদের স্টক মার্কেট, ফিয়াট কারেন্সি এবং অন্যান্য ডেরিভেটিভসের এক্সপোজার দেয়। এইভাবে এটি DeFi জগতে একটি অভিনব সুযোগ তৈরি করেছে, যেখানে ঝুঁকি নিয়েও আয় করা সম্ভব।

 

Curve (CRV) 

Curve Finance হলো একটি বিশেষ ধরনের DeFi প্ল্যাটফর্ম যা স্টেবলকয়েন এবং টোকেনাইজড বিটকয়েন ডেরিভেটিভসের জন্য তৈরি। আপনি এখানে স্টেবলকয়েন জমা রেখে তরলতা প্রদান করতে পারেন এবং এর মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মের লেনদেন থেকে উৎপন্ন ফি’র একটি অংশ পেয়ে যেতে পারেন।

Curve অন্যান্য DeFi প্রোটোকল যেমন Compound বা Yearn.finance-এর সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, যার ফলে আপনি জমা রাখা পুল টোকেনের ওপর আরও বেশি সুদ ও পুরস্কার পেতে পারেন। এটি এমন ব্যবহারকারীদের জন্য আদর্শ যারা কম ঝুঁকিতে স্থিতিশীল আয় খুঁজছেন।

 

উপসংহার: 

DeFi প্ল্যাটফর্মগুলো বর্তমানে এমন একটি আর্থিক ব্যবস্থা তৈরি করছে যেখানে আপনি ব্যাংকের সাহায্য ছাড়াই আয় করতে পারেন। এখানে প্যাসিভ ইনকামের জন্য যেসব পদ্ধতি রয়েছে, সেগুলো থেকে পাওয়া সুদের হার প্রচলিত ব্যাংকের তুলনায় অনেক বেশি।

তবে, বিনিয়োগের আগে প্রতিটি DeFi প্রোটোকল ভালোভাবে বুঝে নেওয়া, প্ল্যাটফর্মটির নিরাপত্তা, তার গত ইতিহাস, এবং ঝুঁকি সম্পর্কে জেনে নেওয়া খুবই জরুরি। কারণ, ক্রিপ্টো জগতে সুযোগ যেমন বেশি, তেমনি ঝুঁকিও রয়েছে।

তাই সঠিক জ্ঞান, সতর্কতা ও ধৈর্যের মাধ্যমে আপনি DeFi ব্যবহার করে নিজের আয়ের নতুন দরজা খুলে ফেলতে পারেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

J. B. CK As a Content Writer specializing in blockchain and a range of other topics, I bring proven expertise in crafting engaging, search engine-optimized content. Since May 2023, I have been working at Edulife Agency, a well-known company in Bangladesh, where I create content that boosts organic traffic and drives higher visibility on search engines. In addition to content writing, I specialize in on-page SEO and keyword research. By leveraging tools like Yoast and Rank Math SEO plugins, I optimize websites to ensure they rank higher and perform better in search engine results. My expertise covers a wide range of SEO services, including keyword research, meta tag optimization, internal and external link building, content and image optimization, and more.